আইসোটোপ কাকে বলে?
আইসোটোপ কাকে বলে? | এর বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার
পরমাণু, প্রোটন কিংবা পারমানবিক এই সকল শব্দ গুলোর সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। বিজ্ঞান বিষয় পড়তে গিয়ে এ সম্পর্কে বেশ ভালো ভাবে জানা যায় কিংবা বুঝা যায়। কিন্তু এর মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের একটি অংশ বলা যায় আইসোটোপ। আইসোটোপ কাকে বলে জানতে হলে যেতে হবে এর বিস্তারিত আলোচনায়। চলুন আলোচনা করা যাক, স্ক্প What Is Isotope এই সম্পর্কে।
আইসোটোপ কাকে বলে?
বলা হয়ে থাকে, আইসোটোপ হতে হলে পরমাণুর সংখ্যা সমান হতে হয়। তবে প্রকৃত পক্ষে যদি বলা হয় আইসোটোপ কাকে বলে তাহলে বলা যায়, কোনো মৌলের পরমাণু প্রোটন সংখ্যা একই কিংবা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা যদি ভিন্ন হয় তবে সেগুলোকে আইসোটোপ বলা হয়ে থাকে।
এদের পরমাণু ক্রমাংক ও ইলেকট্রনিক বিন্যাস এক হয়ে থাকে যখন প্রোটন সংখ্যা গুলো এক হয়। ফলে এদের রাসায়নিক ধর্ম এবং ভৌত একই হয়। আইসোটোপ কাকে বলে জানার পর এবার আসি এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনায়। এর নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন জেনে নেই।
সম্পর্কিত পোস্ট:
আইসোটোপ এর বৈশিষ্ট্য
- আইসোটোপ একই মৌলের পরমাণু হয়ে থাকে।
- এর প্রোটন সংখ্যা একই।
- এর ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে।
- এদের নিউট্রন সংখ্যাও পরস্পর থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে।
আইসোটোপ কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার পর যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আইসোটোপ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা। চলুন এবার এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই।
আইসোটোপ এর ব্যবহার
আইসোটোপ ব্যবহার করা বিভিন্ন খাতে। যেমনঃ
- উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং উদ্ভিদের রোগ সম্পর্কে জানা এবং বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি প্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য।
- বিভিন্ন ফলমূল এবং খাদ্য সংরক্ষণে।
- বিভিন্ন পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে।
- ফসল করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফসলে কতটুকু সার প্রয়োজন তা নির্ণয়ে।
- মানব দেহে ক্ষুদ্র ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী শনাক্তকরণে।
- মানব দেহে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানতেও আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
পরিশেষে বলা যায়, আইসো (iso) একটি গ্রীক শব্দ। আইসোটোপ সম্পর্কে জানতে হয় রসায়ন বিষয়টি পড়তে গেলে। আইসোটোপ কাকে বলে এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে এর বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জানার। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে এই সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।