ইন্টারনেট কি ? ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে?
ইন্টারনেট কি ? ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে?
বর্তমান পৃথিবীতে আপনি এমন কোন স্থান খুঁজে পাবেন না, যেখানে ইন্টারনেট নেই। বরং এই পৃথিবীর প্রতিটা দেশের মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের কাজ করে। যেমন ধরুন, আমরা দিনের শুরু থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত। প্রায় অধিকাংশ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। কারণ আজকের দিনে ইন্টারনেট এর এত বেশি সহজলভ্যতা তৈরি হয়েছে যে। ইন্টারনেট ছাড়া আমরা এখন এক মুহূর্ত চলতে পারি না। কিন্তু কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে, এই ইন্টারনেট কি, ইন্টারনেট এর জনক কে। হয়তোবা দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও আমরা অনেকেই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে কিছু জানিনা।
আরো দেখুন: শীর্ষ 1000 ফেসবুক নাম সমূহ
তবে যখন আপনি কোন কিছু ব্যবহার করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে যেহেতু আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় অধিকাংশ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেহেতু অবশ্যই আমাদের ইন্টারনেট কি (What is internet) সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। আর আপনি যাতে এই বিষয়টি সম্পর্কে একেবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যান। সে কারণেই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। কারন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব যে। ইন্টারনেট কি, ইন্টারনেটের জনক কে এবং ইন্টারনেট আমাদের কি কি কাজে লাগে।
আর আপনি যদি ইন্টারনেট সম্পর্কে তো এই অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। তাই অবশ্যই আপনি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি এই আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এরপর থেকে আপনার ইন্টারনেট সম্পর্কিত কোনো বিষয় অজানা থাকবে না। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। এবং ইন্টারনেটের জগতে হারিয়ে যাওয়া যাক।
ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট মূলত এমন একটি নেটওয়ার্ক যা মুলত টেলিফোন লাইন, স্যাটেলাইট কিংবা বেতার সংযোগ এর মাধ্যমে। কোন একটি কম্পিউটার ডিভাইস কে অন্য আরেকটি কম্পিউটার ডিভাইস এর সাথে World Wide Web অথবা www এর মাধ্যমে সংযোগ করে থাকে। আর সে কারণে মূলত এই আধুনিক টেলি যোগাযোগ এর নেটওয়ার্ক কে বলা হয় থাকে ইন্টারনেট। মূলত ইন্টারনেট এর মধ্যে আপনি যে সকল তথ্য আপনার ডিভাইসের মধ্যে গ্রহণ করবেন। সে মাধ্যম কে www অথবা World Wide Web বলা হবে হয়ে থাকে। আর যখন আপনি আপনার ডিভাইস থেকে কোন তথ্য ইন্টারনেটের মধ্যে পাঠাবেন। সেই পদ্ধতি কে বলা হয় Hypertext Link.
ইন্টারনেট কাকে বলে?
ইন্টারনেট কি সে নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে আপনি যদি উপরের আলোচনা থেকে ইন্টারনেট কি সে বিষয় টি বুঝতে না পারেন। তাহলে এবার আমি ইন্টারনেট কাকে বলে সে বিষয় কে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
মূলত ইন্টারনেট হল এই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় এক ধরনের নেটওয়ার্ক। আর যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই পৃথিবীর প্রায় সকল কম্পিউটার একটি অপর টির সাথে সংযুক্ত থাকে। আর এই সংযুক্ত থাকা বৃহৎ নেটওয়ার্ক কে বলা হয়ে থাকে ইন্টারনেট। আর যখন কোন একজন ব্যক্তি তার হাতে থাকা মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে। উক্ত বৃহৎ নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়। তখন সেই নেটওয়ার্ক কে বলা হয়ে থাকে, Global Network.
ইন্টারনেটের জনক কে?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন, যে ইন্টারনেট কি। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে আরো সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি যে, ইন্টারনেট কাকে বলে। তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এখন আপনাকে জানতে হবে যে, এই ইন্টারনেটের জনক কে। কারণ আজকের দিনে আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেটা কিন্তু কারো না কারো হাত ধরে তৈরি হয়েছে। আর আমাদের প্রত্যেকের এই ইন্টারনেটের জনক কে, সে সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। তাহলে চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ইন্টারনেটের জনক: Vinton Gray Cerf. ভিন্টন গ্রে “ভিন্ট” সার্ফ, যাকে আধুনিক ‘ইন্টারনেটের জনক‘ বলা হয়ে থাকে।
যদি আপনি জানতে চান যে, ইন্টারনেটের জনক কে। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় বলবো যে, ইন্টারনেটের জনক হল ভিনটোন জি কার্ফ। মূলত ইনি হলেন সেই ব্যক্তি, যার ফলে আমরা আজকের দিনের ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। তো এই ইন্টারনেট কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। আজকের দিনে আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেটি তৈরি করতে দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ কে দিনরাত আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়েছে। আর এর ফলস্বরূপ আমরা আজকের দিনের এই ইন্টারনেট কে ব্যবহার করতে পারছি।
ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে?
ইন্টারনেট কি এবং ইন্টারনেটের জনক কে সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। আজকের দিনে আমরা অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তবে এই ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আপনাকে নিজের আলোচিত আলোচনা গুলো তে নজর রাখতে হবে। কারণ এবার আমি ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে সে বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে।
Digital E-Commerce
বর্তমান সময়ে আমরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারি। যেমন, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন প্রকারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রয়োজন হয়। আর সে পণ্য গুলো কেনার জন্য আমাদের মার্কেটে যেতে হয়। কিন্তু এখন আমরা চাইলে নিজের ঘরে বসে এই সকল প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করতে পারি। মূলত এই কাজটি করার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে ইন্টারনেট এর। আর বর্তমান সময়ে এই পৃথিবীতে ইন্টারনেট আছে বলেই আমরা ই-কমার্স এর সুবিধা ভোগ করতে পারছি। যার ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
Easy Communication System
যদি আপনি অতীতের দিন গুলোর সাথে বর্তমান দিনের কথা তুলনা করেন। তাহলে একটা বিষয় আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন যে। এখনকার দিনে কিন্তু আমরা অনেক সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। মূলত বর্তমান সময়ে আমরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থাকা অপর একটি মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি। আর এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট এর কারণে। আর ইন্টারনেট আছে বলেই, আমরা এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে থাকা মানুষের সাথে খুব দ্রুততার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি।
Online Education System
আপনি একটা বিষয় চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন যে। আজকের দিনে যখন আমরা কোন কিছু জানার চেষ্টা করি। তখন সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে খুঁজে থাকি। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সময়ে ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষার। কারণ এখন অনলাইনের মধ্যে এমন অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। যে মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে শিক্ষা নিতে পারি। এবং প্রয়োজন হলে শিক্ষা দিতে পারি। আর সে কারণেই মূলত আজকের দিনে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমাগত ভাবে অনলাইন এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এই সুবিধা টি শুধুমাত্র ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
Know About Anything
দেখুন আমরা কেউ সবজান্তা শমসের নই। আর সে কারণেই আমাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এই বিষয় গুলো যদি আপনি পাঠ্য পুস্তকে খুজতে যান। তাহলে আপনার অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনি যদি আপনার অজানা বিষয় গুলো কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুততার সাথে সেই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি যদি কোন শিক্ষা বিষয়ক তথ্য জানতে চান। এবং সেই অজানা তথ্য গুলো জানার জন্য ইন্টারনেট এর মধ্যে সার্চ করেন। তাহলে আপনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই অজানা তথ্য গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি?
ইন্টারনেট কি সে বিষয় টি জানার পাশাপাশি এবার আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেটি হল ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি। কারণ বর্তমান সময়ে আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেই ইন্টারনেট কে মূলত ছয় (৬) টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে, এই ইন্টারনেট আসলে কত প্রকার ও কি কি। তাই চলুন এবার তাহলে ইন্টারনেট এর প্রকারভেদ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আমি উপরেই আপনাকে বলেছি যে ইন্টারনেট হল ছয় প্রকারের যেমন:
- Dial-up internet
- DSL internet
- Satellite internet
- Cable internet
- Selular internet
মূলত বর্তমান সময়ের এই আধুনিক যুগে আমরা প্রত্যেকেই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেই ইন্টারনেট কে মূলত এই ছয় টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। আশা করি ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে আপনি একেবারে পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন। চলুন এবার তাহলে অন্যান্য টপিক নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ইন্টারনেট আবিষ্কার
সত্যি বলতে আমরা আজকের দিনে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। এবং যে ইন্টারনেট কে এতটা সহজলভ্য মনে করি। সেই ইন্টারনেট কিন্তু এত সহজে আবিষ্কৃত হয়নি। বরং এই ইন্টারনেট কে তৈরি করতে ব্যয় করতে হয়েছে অনেক মানুষের নীরলস প্রচেষ্টা। লাখ লাখ মানুষ দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অবিরাম চেষ্টা চালানোর পরে। আজকের দিনের আমরা ইন্টারনেট কে পেয়েছি। তবে বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করলেও। আমরা অনেকেই এই ইন্টারনেট আবিষ্কার এর তথ্য গুলো সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানিনা। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা যাক।
যদিও বা উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, ইন্টারনেটের জনক হল, ভিনটোন জি কার্ফ। তবে ইন্টারনেটের ইতিহাস টা কিন্তু এতটা সহজ নয়। বরং ১৯৬৯ সালে আমেরিকার একটি বিশেষ এজেন্সি থেকে সর্বপ্রথম ARPANET এর স্থাপনা করা হয়েছিল। মূলত এই বিশেষ আমেরিকান এজেন্সির কাজ ছিল। পৃথিবী তে থাকা একটি কম্পিউটার কে অন্য আরেক টি কম্পিউটার এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা। আর এই সংস্থার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৮০ সালে এই বিশেষ পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়, ইন্টারনেট।
তবে এই ইন্টারনেটের আরম্ভ হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। আর যখন সেই সময়ে এই বিশেষ প্রযুক্তি কে বলা হতো Network to Network. কিন্তু বর্তমান সময়ে এই একই বিষয় কে আমরা ইন্টারনেট বলে আখ্যায়িত করেছি। এবং আমরা এখন সবাই এই বিশেষ প্রযুক্তি কে ইন্টারনেট বলে চিনে থাকি। তবে শুরু দিকে ইন্টারনেট এমনটা ছিল না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন www অথবা world wide web এর উদ্ভাবন হয়। তখন থেকে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও সহজলভ্য হয়। এবং মানুষ খুব সহজেই এই ইন্টারনেট কে ব্যবহার করতে পেরেছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ইন্টারনেট কি। এবং ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি। এর পাশাপাশি এই ইন্টারনেট আমাদের কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়। সে সম্পর্কেও আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তবে এখন আপনাকে নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আর সেই বিষয় টি হলো যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কি। অর্থাৎ আপনি যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট কে ব্যবহার করবেন। তখন যেসব বেনিফিট পাবেন। সে সম্পর্কে এবার আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। তাই চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার গুলো কি কি।
অনলাইনে শিক্ষা দান করা
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে মূলত অনলাইন এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। তো পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি যখন এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করবে। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব সহজ ভাবে জেনে নিতে পারবে। তারা আরো গভীর ভাবে কোন একটি বিষয় কে রিসার্চ করতে পারবে। এতে করে তাদের জ্ঞানের পরিধি আরো অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইনে লাইভ ভিডিও ক্লাস
আমাদের বাংলাদেশে আপনি এমন অনেক স্কুল কলেজ খুঁজে পাবেন। যেখানে মূলত অনলাইনের মাধ্যমে লাইভ ক্লাস করানো হয়ে থাকে। মূলত বাস্তবিক অর্থে যেভাবে এটি ক্লাসরুমের মধ্যে শিক্ষাদান করা হয়। ঠিক সেভাবেই কিন্তু এখনকার দিনে অনলাইন পদ্ধতি তে বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সরাসরি অনলাইন ক্লাস করানো সম্ভব হয়েছে।
অজানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় অবদান হলো। এখন আমরা আমাদের অজানা বিষয় গুলো কে খুব সহজেই জেনে নিতে পারি। যেমন ধরুন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যদি আপনার কোন কিছু অজানা থাকে। তাহলে আপনি যদি সে সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তক থেকে ধারণা নিতে চান। তাহলে আপনার অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে। অপরদিকে আপনি যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই বিষয় গুলো সার্চ করেন। তাহলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার সকল অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা
বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর যখন একজন শিক্ষার্থী তার নিজের মতো করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। সেই শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে তার অজানা বিষয় গুলো কে নিজের মতো করে জেনে নিতে পারবে। তখন সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের পরিপূর্ণ সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এত করে সেই সব শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করার ভিত্তি আরো মজবুত হবে।
নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেট
অনলাইনে সংগৃহীত ব্যক্তিগত এবং সর্বজনীন তথ্যের পরিমাণের কারণে, গ্রাহকরা নিরাপত্তা আক্রমণ এবং ডেটা লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ক্র্যাকার এবং হ্যাকারদের নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেমে অ্যাক্সেস রয়েছে এবং তারা ব্যক্তিগত ডেটা যেমন লগইন পাসওয়ার্ড বা ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করতে সক্ষম। অনলাইন গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
- আপনি আপনার সিস্টেমে অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে পারেন।
- জটিল, অনন্য পাসওয়ার্ড তৈরি করা যা কারো দ্বারা পাঠোদ্ধার করা অসম্ভব।
- একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) ব্যবহার করতে পারেন, অথবা Google Chrome-এর ছদ্মবেশী উইন্ডোর মতো অন্তত একটি ব্যক্তিগত ব্রাউজিং মোড।
- শুধুমাত্র HTTPS ব্যবহার করে
- আপনার সমস্ত সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ব্যক্তিগত রাখুন।
- অটোফিল বৈশিষ্ট্য নিষ্ক্রিয় করুন।
- ডিভাইসের জিপিএস বন্ধ করুন।
- শুধু ট্যাব বা উইন্ডো বন্ধ করার পরিবর্তে, অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করুন।
- কুকি আপডেট করুন যাতে একটি কুকি সেট করা থাকলে যে কোনো সময় একটি সতর্কতা পাঠানো হয়।
- স্প্যাম ইমেলগুলি এড়ানো উচিত, এবং আপনি জানেন না এমন উত্স থেকে ফাইলগুলি খুলবেন বা ডাউনলোড করবেন না।
- হটস্পট বা পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
উপরন্তু, “ডার্ক ওয়েব” ইন্টারনেটের একটি অতিরিক্ত উপাদান। স্ট্যান্ডার্ড ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের অন্ধকার ওয়েব অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয় না, যা লুকানো আছে। এটি পরিবর্তে Tor এবং I2P ব্রাউজার ব্যবহার করে, যা ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ বেনামী বজায় রাখতে দেয়। যদিও এই নাম প্রকাশ না করা একজন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং অনলাইনে বাকস্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বা সরকারের গোপনীয় তথ্য গোপন করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে, তবে ডার্ক ওয়েব এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যা সাইবার ক্রাইম, অবৈধ পণ্য স্থানান্তর এবং সন্ত্রাসবাদকে সহজ করে তোলে।
ইন্টারনেটের সামাজিক প্রভাব
সমাজে ইন্টারনেটের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই লক্ষ্য করা যায়। একদিকে, কিছু লোক দাবি করে যে ইন্টারনেট প্রত্যাহার, সামাজিক বর্জন, বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং প্রমাণ হিসাবে FOMO বৃদ্ধি বা হারিয়ে যাওয়ার ভয়কে উদ্ধৃত করেছে। অন্যদিকে, কিছু লোক এটাও বিশ্বাস করে যে ইন্টারনেট সমাজে বিপরীত প্রভাব ফেলেছে, সামাজিকতা, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং সংযোগের গভীরতা বৃদ্ধি করেছে।
ইন্টারনেট : দেশে-বিদেশে কী ঘটছে, সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে সবাই।
ইন্টারনেট কীভাবে সমাজ যোগাযোগ এবং মিথস্ক্রিয়া করে তা পরিবর্তন করেছে, প্রভাব সমাজে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কিনা। ব্যক্তিগত বৃদ্ধির উপর বর্ধিত ফোকাস পরিবর্তনের একটি উদাহরণ এবং একটি সম্প্রদায়ের পতন যা স্থান, চাকরি এবং পরিবার দ্বারা নির্ধারিত হয়। লোকেরা এখন ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের অনন্য প্রকল্প, মূল্যবোধ এবং সেই সাথে আগ্রহের ভিত্তিতে সামাজিক সংযোগ তৈরি করে। অফলাইন এবং ব্যক্তিগতভাবে ছাড়াও, সমমনা ব্যক্তির দ্বারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রদায়গুলি তৈরি করা হচ্ছে এবং অনলাইন সেটিংসের প্রাচুর্য এটি সরবরাহ করে এবং তৈরি করে Facebook এবং LinkedIn এর মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের জন্য পছন্দের প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে এবং অন্যদের সাথে সংযোগ করতে ইচ্ছুক।
ইন্টারনেট সংযোগ প্রোটোকল
প্রোটোকল হল নির্দেশিকাগুলির একটি সেট যা কোনও নির্দিষ্ট সংস্থা বা প্রযুক্তির ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
তিনটি প্রধান বিভাগইন্টারনেট সংযোগ প্রোটোকল নীচে আলোচনা করা হয়:
- TCP/IP নেটওয়ার্ক মডেল: নেটওয়ার্ক লিঙ্ক করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোটোকল হল ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল (TCP) এবং ইন্টারনেট প্রোটোকল (IP)। যে কোনো যোগাযোগকে কয়েকটি প্যাকেটে বিভক্ত করা হয় যা উৎস থেকে গন্তব্যে পাঠানো হয়।
- এফ টি পি: FTP (ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) এর সাহায্যে একজন ব্যবহারকারী ডকুমেন্ট, টেক্সট ফাইল, মাল্টিমিডিয়া ফাইল, প্রোগ্রাম ফাইল ইত্যাদি এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তর করতে পারে।
- হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল: এটি দুই বা ততোধিক কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসের মধ্যে একটি হাইপারটেক্সট সরাতে ব্যবহৃত হয়। HTML ট্যাগ ব্যবহার করে লিঙ্কগুলি তৈরি করা যেতে পারে এবং পাঠ্য বা গ্রাফিক্সের আকার নিতে পারে।
ইন্টারনেটের ইতিহাস
ইন্টারনেটের অগ্রদূত, ARPANet, প্রথমবারের মতো লাইভ হয়েছিল 1969. TCP/IP, ওপেন নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল স্যুট, 1983 সালে ARPANet দ্বারা গৃহীত হয়েছিল, এবং ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন নেটওয়ার্ক (NSFN) 1985 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ গুলিকে সংযুক্ত করার জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল।
1989 সালে যখন হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (HTTP) তৈরি করা হয়েছিল, তখন এটি বিভিন্ন কম্পিউটার প্ল্যাটফর্মকে একই ইন্টারনেট সাইটের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম করে, যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ কে নাটকীয়ভাবে উন্নত করে। মোজাইক ওয়েব ব্রাউজার টি তৈরি করা হয়েছিল 1993.
এর অস্তিত্বের কয়েক বছর ধরে, ইন্টারনেট একটি ধ্রুবক বৃদ্ধি এবং বিকাশ রয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আইপিভি 6 ব্যবহার করা যেতে পারে এমন আইপি ঠিকানার সংখ্যায় একটি উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যত বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সম্পর্কিত বিকাশে, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) দ্রুত বিকাশমান পরিবেশকে বোঝায় যেখানে প্রায় কোনও সত্তা বা ডিভাইসকে একটি অনন্য শনাক্তকারী (UID) এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা যোগাযোগ করার ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে।
ইন্টারনেটের সুবিধা (Benefits of the Internet):
- তাৎক্ষণিক বার্তা আদান প্রদান: আপনি বার্তা পাঠাতে পারেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কাউকে যোগাযোগ করতে পারেন, যেমন ইমেল, ভয়েস চ্যাট, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি।
- দিকনির্দেশ পান: জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে, আপনি একটি শহর, দেশ ইত্যাদির প্রায় প্রতিটি স্থানের দিকনির্দেশ পেতে পারেন। আপনি আপনার অবস্থানের কাছাকাছি রেস্টুরেন্ট, মল বা অন্য কোনো পরিষেবা খুঁজে পেতে পারেন।
- অনলাইনে কেনাকাটা: এটি আপনাকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে দেয় যেমন আপনি জামাকাপড়, জুতা, বুক সিনেমার টিকিট, রেলের টিকিট, ফ্লাইট টিকিট এবং আরও অনেক কিছু হতে পারেন।
- বিল পরিশোধ: আপনি আপনার বিল অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন, যেমন বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কলেজ ফি ইত্যাদি।
- অনলাইন ব্যাংকিং: এটি আপনাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করার অনুমতি দেয় যেখানে আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারেন, টাকা গ্রহণ করতে বা স্থানান্তর করতে পারেন, একটি বিবৃতি পেতে পারেন, চেক-বুকের অনুরোধ করতে পারেন ইত্যাদি।
- অনলাইন বিক্রয়: আপনি অনলাইনে আপনার পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে আরও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে এবং এইভাবে আপনার বিক্রয় এবং লাভ বাড়ায়।
- বাসা থেকে কাজ: যদি আপনাকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়, আপনি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সহ একটি সিস্টেম ব্যবহার করে এটি করতে পারেন। আজ, অনেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়।
- বিনোদন: আপনি অনলাইন গান শুনতে পারেন, ভিডিও বা সিনেমা দেখতে পারেন, অনলাইন গেম খেলতে পারেন।
- ক্লাউড কম্পিউটিং: এটি আপনাকে আপনার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট-সক্ষম ডিভাইস গুলোকে ক্লাউড পরিষেবা যেমন ক্লাউড স্টোরেজ, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদির সাথে সংযুক্ত করতে সক্ষম করে।
- ক্যারিয়ার গঠন: আপনি বিভিন্ন জব পোর্টালে অনলাইনে চাকরি খুঁজতে পারেন এবং প্রয়োজনে ইমেইলের মাধ্যমে সিভি পাঠাতে পারেন।
সাইবার নিরাপত্তা: কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে।
ইন্টারনেটের অসুবিধা (Harmful of the Internet):
- সময় অপচয়: যদিও, ইন্টারনেটের অনেক সুবিধা রয়েছে, এতে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। সময়ের অপচয় তার মধ্যে অন্যতম। আপনি যদি কিছু না করে সামাজিক মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে খুব বেশি সময় ব্যয় করেন তবে এটি আপনার উত্পাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে। সময় নষ্ট না করে, সেই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে এবং আরও বেশি ফলদায়ক কিছু করতে।
- স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব: আপনি যদি অনলাইনে খুব বেশি সময় ব্যয় করেন তবে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা পেতে পারেন; আপনার শরীরের বাইরের কার্যকলাপ, ব্যায়াম, এবং অন্যান্য অনেক কিছু প্রয়োজন। বেশিক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
- সাইবার অপরাধ: এই দিনগুলিতে, সাইবার বুলিং, স্প্যাম, ভাইরাস, হ্যাকিং এবং ডেটা চুরি সহ অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার অপরাধীরা দ্রুত আপনার সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে, যা আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সঞ্চয় করে।
- শিশুদের উপর প্রভাব: ছোট বাচ্চাদের ইন্টারনেটে ক্রমাগত ভিডিও দেখা এবং গেম খেলা তাদের সামাজিক এবং সামগ্রিক ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য খারাপ।
- নিপীড়ন এবং নেতিবাচকতা ছড়ানো: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশানগুলি সেই সমস্ত লোকদের জন্য একটি বিনামূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যারা নিয়মিতভাবে ঘৃণ্য এবং অপমানজনক মন্তব্যের মাধ্যমে নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং একে অপরকে ধমক দেওয়ার চেষ্টা করে, যা ভুল এবং সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলে।
ইন্টারনেটে সংযোগ করার বিভিন্ন উপায়
ইন্টারনেট সংযোগের বিভিন্ন পদ্ধতি নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
- ডায়াল-আপ: ইন্টারনেট সংযোগ অ্যাক্সেস করার জন্য ব্যবহারকারীদের অবশ্যই তাদের ফোন লাইনটিকে একটি কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ব্যবহারকারী সংযুক্ত থাকা অবস্থায় টায়ার হোম ফোন পরিষেবা ব্যবহার করে কল করতে বা গ্রহণ করতে অক্ষম।
- ব্রডব্যান্ড: আজকের সবচেয়ে জনপ্রিয় উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ, ব্রডব্যান্ড হয় কেবল বা ফোন কোম্পানি দ্বারা অফার করা হয়।
- তারবিহীন যোগাযোগ: এই বিভাগে মোবাইল এবং ওয়াই-ফাই পরিষেবা প্রদানকারীরা অন্তর্ভুক্ত। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি যেকোন জায়গায় ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে পারেন কারণ সংযোগ রেডিও তরঙ্গ দ্বারা সম্ভব হয়৷ বেতার সংযোগের বেশ কয়েকটি উদাহরণ নীচে সরবরাহ করা হয়েছে:
- ওয়াইফাই: তারের ব্যবহার ছাড়াই, ওয়াই-ফাই বা ওয়্যারলেস বিশ্বস্ততা উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ সক্ষম করে।
- মোবাইল ফোন গুলো: আধুনিক সময়ে, সমস্ত স্মার্টফোনে একটি ইন্টারনেট সংযোগ বিকল্প রয়েছে যা ইন্টারনেট প্যাক এবং কুপন ব্যবহার করে নেওয়া যেতে পারে। এগুলির জন্য তারের বা বাহ্যিক সংযোগেরও প্রয়োজন নেই।
- উপগ্রহ: যেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেই সেসব এলাকায় ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সংযোগের জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়।
- ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস ডিজিটাল নেটওয়ার্ক: টেলিফোন লাইন ব্যবহারের সাহায্যে, আইএসডিএন ব্যবহারকারীদের অডিও বা ভিডিও ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
অন্যান্য জিনিস আপনি ইন্টারনেটে করতে পারেন
কার্যত অবিলম্বে বিশ্বের যে কারো সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা ইন্টারনেটের অন্যতম সেরা বৈশিষ্ট্য। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ব্যবহারকারীর সাথে, ই মেইল হল অনলাইন যোগাযোগের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির পাশাপাশি অন্যদের সাথে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার একটি পদ্ধতি। লোকেরা বিভিন্ন উপায়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন সম্প্রদায় তৈরি করতে পারে।
মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট
ইন্টারনেট কি সে বিষয় টি সম্পর্কে আজকে আমি বিশদ ভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি আজকের এই আলোচিত আলোচনা গুলো মন দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস রয়েছে যে, আপনার ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট কি সে সম্পর্কে একেবারেই পূর্ণাঙ্গ ধারণা চলে এসেছে। তবে এবার আমি আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। যে বিষয় টি সম্পর্কে এখনো অনেক মানুষ জানে না। আর সে কারণেই অনেকেই এখন জানতে চায় যে, মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট নেওয়ার পদ্ধতি গুলো কি কি।
এখন আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে কম্পিউটারে ইন্টারনেট প্রবেশ করাতে পারবেন। তবে সঠিক পদ্ধতি গুলো না জানার কারণে আমরা মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট প্রদান করতে পারি না। আর এবার আমি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাবে শেয়ার করার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট প্রদান করতে পারেন।
তো আপনি যদি মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট নিতে চান। তাহলে প্রথমেই আপনাকে আপনার মোবাইলের Setting অপশনে যেতে হবে। তো যখন আপনি আপনার মোবাইলের Setting অপশনে যাবেন। তখন আপনি Hotspot নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর যখন আপনি আপনার এই Hotspot নামক অপশন টি চালু করে দিবেন। তখন আপনার মোবাইল টি একটি ওয়াইফাই (Wifi) সংযোগ হিসেবে কাজ করবে। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি এই ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে কম্পিউটারে ইন্টারনেট প্রদান করতে পারবেন।