উপাত্ত কাকে বলে? উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি?
উপাত্ত কাকে বলে ?
উপাত্ত শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কারণ অংক বিষয়টি তে এই উপাত্ত সম্পর্কে বেশ ভালো করেই বলা হয়ে থাকে কিংবা উল্লেখ করা থাকে। উপাত্ত বিষয়টি সম্পর্কে ভালো করে জানা না থাকলে বুঝা মুশকিল কোথায়, কিভাবে আর কেনোই বা এই উপাত্ত প্রয়োজন।
আর তাই উপাত্ত কাকে বলে এটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে হলে পড়ে নিন এই আর্টিকেল টি। এই আর্টিকেল টি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন উপাত্ত কাকে বলে, এর বৈশিষ্ট্য কিংবা উপাত্ত সম্পর্কে ডিটেইলে।
চলুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেই, উপাত্ত কাকে বলে।
উপাত্ত কাকে বলে?
“উপাত্ত” যার ইংরেজি শব্দ হচ্ছে “Data.” Data শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ। বলা হয়ে থাকে Data এর বহুবচন শব্দ হচ্ছে Datum. এর অর্থ তথ্যের উপাদান। এই উপাত্ত ছাড়া মূলত আমাদের কোনো কাজই সম্ভব নয়।
উপাত্ত কাকে বলে যদি সহজ ভাষায় বলি তাহলে, উপাত্ত হচ্ছে তথ্যের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতম অংশ। পরিমাপ কিংবা গণনা করার মাধ্যমে আমরা যে প্রাপ্ত তথ্য পেয়ে থাকি তাকেই উপাত্ত বলা হয়।
পরিসংখ্যান গবেষণায় এই উপাত্ত কে বলা হয় প্রধান কাঁচামাল। সেটি ছাড়া পরিসংখ্যান গবেষণা করা সম্ভব নয়।
উপাত্ত কাকে বলে জানার পর এবার চলুন জেনে নেই এর কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। যে বৈশিষ্ট্য গুলো জানলে উপাত্ত সম্পর্কে আরো বেশি ক্লিয়ার ধারণা পাওয়া যাবে। চলুন তবে জানা যাক।
আর ও পড়ুন:
উপাত্ত এর বৈশিষ্ট্য
- একটি সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য সাধারণত উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।
- উপাত্ত সাধারণত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।
- প্রক্রিয়াকরণ এর পূর্বের অবস্থা হচ্ছে উপাত্ত।
- উপাত্ত দিয়ে যথাযথ ভাবার্থ প্রকাশ করা যায় না।
- উপাত্ত কে তথ্যের কাঁচামাল বলা হয়।
- সকল উপাত্ত কিন্ত তথ্য নয়।
- পরিসংখ্যান, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য সকল কিছু বাছাই করা হয় উপাত্ত রূপান্তরের মাধ্যমে।
উপাত্ত কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। এবার উপাত্ত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে জানা লাগবে এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। তবে আর দেরি কেনো?
চলুন জেনে নেই, উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি সেগুলো সম্পর্কে।
উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি?
উপাত্ত প্রধানত ২ প্রকার। তবে এর বৈশিষ্ট্যগত প্রকারভেদও রয়েছে। কিন্তু তার আগে আমরা জানবো, উপাত্তের প্রধানত ২ প্রকার সম্পর্কে। যেমনঃ
(০১) প্রত্যক্ষ উপাত্ত এবং
(০২) পরোক্ষ উপাত্ত
চলুন বিস্তারিত জানি উপাত্তের প্রকারভেদ নিয়ে।
(০১) প্রত্যক্ষ উপাত্তঃ
যেকোনো উৎস থেকে সরাসরি কোনো উপাত্ত সংগ্রহ করলে তাকে প্রত্যক্ষ উপাত্ত বলে। প্রত্যক্ষ উপাত্ত এর নির্ভরযোগ্যতা বেশি কারণ এটি সরাসরি সংগ্রহ করা হয়।
(০২) পরোক্ষ উপাত্তঃ
পরোক্ষ উপাত্ত প্রত্যক্ষ উপাত্ত থেকে পুরো উলটো। অর্থাৎ, এখানে পরোক্ষ ভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। আর তাই একে পরোক্ষ উপাত্ত বলা হয়। ফলে এর নির্ভরযোগ্যতা অনেক কম।
এবার আসি, বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে উপাত্ত এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকেও উপাত্ত ২ প্রকার। যেমনঃ
(০১) পরিমাণবাচক উপাত্ত এবং
(০২) গুণবাচক উপাত্ত
বিস্তারিত আলোচনা করা যাক এবার।
(০১) পরিমাণবাচক উপাত্তঃ
পরিমাণবাচক এর ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হচ্ছে “Quantative”. কোনো গবেষক যখন কোনো ব্যক্তি কিংবা বস্তুর বৈশিষ্ট্য পরিমাণগত ভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হয় তখন তাকে পরিমাণবাচক উপাত্ত বলা হয়। যেমনঃ পারিবারিক জরিপে লোক সংখ্যা গণনা, আয়, উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ ইত্যাদি।
(০২) গুণবাচক উপাত্তঃ
“Qualitative” এর বাংলা অর্থ হচ্ছে গুণবাচক উপাত্ত। গবেষক যখন তার গবেষণার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কিংবা বস্তুর বৈশিষ্ট্য আছে নাকি নেই সেটি চিহ্নিত করে সেগুলো আবার কতজন ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে আছে সেগুলো নির্ণয় করে যে উপাত্ত বের করে তাকেই গুণবাচক উপাত্ত বলে।
আর ও পড়ুন:
উপাত্ত কাকে বলে শেষকথা
>>> পরিশেষে বলা যায়, উপাত্ত কাকে বলে তা জানার পাশাপাশি যদি উপাত্ত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যায় তবে উপাত্ত গুলো ব্যবহার করা সহজ হয় এবং প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সঠিক ফলাফল বের করা যায়। উপাত্ত সাধারণত পরিসংখ্যান গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।